গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা বোর্ডের নীতিকে পরিপূর্ণ অনুসরণ করে বিজ্ঞানমনস্ক ও সুশৃঙ্খল জীবন পদ্ধতি গঠণে একজন শিক্ষার্থীকে পুঁথিগত বিদ্যা শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনমান, উত্তম নৈতিক চরিত্র ও মাধুর্য, মুক্ত চিন্তার বিকাশ, সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা, শারিরীক-মানসিক-আত্মিক দৃঢ়তা এবং বিশ্বচ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য নাগরিক তৈরির লক্ষেই “উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ” প্রতিষ্ঠিত। এ লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ২’অক্টোবর’২০০৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর নিয়াজ মোহাম্মদ ষ্টেডিয়ামের উত্তর পাশে, কাউতলিতে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। “উইজডম ট্রাষ্ট” শুধু মাত্র সুনামের জন্য স্ব-অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলী সম্পন্ন জাতি গঠণের অঙ্গীকার নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক-সুধিজনের সুচিন্তিত মতামত ও গঠণমূলক পরামর্শের ভিত্তিতে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। । অত্র প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসী ও অসচেতন অভিভাবককে তার সন্তান নিয়ে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখার নিমিত্বে অনাবাসিকের পাশাপাশি আবাসিক হলও চালু করেছে যা দেশের যে কোন প্রান্তের শিক্ষার্থী মনোরম পরিবেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে সুপ্ত মেধার দীপ্ত বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়। শুরুতে ক্যাম্পাসটি ভাড়ায় পরিচালিত হলেও বর্তমানে ক্যাম্পাসটি নিজস্ব সুপরিসর ভবনে, মনোরম পরিবেশে, যাতায়াতের সর্বোচ্চ সুযোগ সম্পন্ন স্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘরে (বিয়াল্লিশ্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা রোড সংলগ্নে) অবস্থিত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে এনসিটিবির কারিকুলামে বিজ্ঞ গর্ভানিং বডির পরিচালনায় শিশু থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পযর্ন্ত (আবাসিক সহ) সুনামের সাথে পাঠদান করে আসছে। একজন শিক্ষার্থী যাতে শিশু থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪ বছর পাঠ গ্রহণ করে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে সে জন্য ২৪ ঘন্টার রুটিন ওর্য়াকে তাকে পরিগঠণ করা হয়। সংক্ষিপ্ত ভাবে বলতে গেলে, অত্র প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীর অন্তত ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৬/৭ বছর অধ্যয়ন করলে
১। সুষম ও গতিশীল ব্যক্তিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হবে
২। সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের গুনাবলী সম্পন্ন হয়ে উঠবে
৩। সুশৃঙ্খল জীবন আচার, সত্য–নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, উদারতা, বিশ্ব সচেতন ও আধুনিক মানসিকতা সম্পন্ন
আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে
প্রতিষ্ঠানটি এ সকল স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণেই শিক্ষা বোর্ড ও জেলার শীর্ষ স্থান অর্জন সহ মানুষ গড়ার এক অনন্য কারখানা রূপে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।